রোববার, ১৯ মে ২০২৪
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

প্রথম সমাবর্তন, উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সমাবর্তন প্রস্তুতি। আজ এই মিলনায়তনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে সনদ নেবেন গ্র্যাজুয়েটরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
ফাহমিদা তাপসী
প্রকাশিত
ফাহমিদা তাপসী
প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫০

বিদ্যা অর্জনের সীমা-পরিসীমা টানা কঠিন। পুরো জীবনটাই তো শিক্ষা সফর। তবুও একটা নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে আসে শিক্ষা সমাপ্তির সনদ। প্রতীক্ষিত সে দিনটিই সমাবর্তনের দিন। বহুল আকাঙ্ক্ষিত সে সনদ গ্রহণ করতে আসার দিনটি উৎসবের মতো বটে। জীবনের অনেক বড় চাওয়া পূরণের দিন, অর্জনের ঝুলিতে প্রাপ্তি জমা রাখার দিনও।

কনভোকেশন বা সমাবর্তনের মতো চমৎকার দিনটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেমন বিশেষ, তেমনি বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও। সেই সঙ্গে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমাবর্তন যে আরও বিশেষত্ব বহন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রথম সমাবর্তন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। চমকপ্রদ খবর হচ্ছে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী। এ ছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রথম সমাবর্তন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই আনন্দে উদ্বেলিত। সমাবর্তন মানে বিশেষ পোশাক পরে টুপি ওড়ানোর দৃশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের সমাপ্তি টেনে সনদ গ্রহণের দিন।

রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আজ ডিগ্রি নেয়ার অপেক্ষায় আছেন সিইউবির ডিগ্রিধারীরা। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত জানান, ‘সমাবর্তনের দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সমাবর্তনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবনের বিশেষ দিনটির মাধ্যমে সনদ তুলে দিতে পারছি। আমাদের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও একজন নোবেল বিজয়ীকে কাছে পাবেন। এ জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সিইউবি-সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের পূর্ণতা দেয় সমাবর্তন। সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তাদের সার্টিফিকেট নেবেন। এ এক বিশাল অর্জন।

সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী

কৈলাস সত্যার্থী, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী। তবে তার পরিচয় এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ না। বাংলাদেশের পরম বন্ধু তিনি। শিশুদের জন্য কাজ করেন, তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার বিশ্বাস, তরুণরাই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। অধিকার রক্ষায়ও এগিয়ে থাকবে তরুণসমাজ।

মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় শিশু অধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তার সংগঠন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও অধিক শিশুকে ক্রীতদাসত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মুক্ত করেছে এবং তাদের পুনর্মিলন, পুনর্বাসন ও শিক্ষায় সহযোগিতা করেছে। ফলশ্রুতিতে তাকে ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

২০১৬ সাল থেকে কৈলাস সত্যার্থীর উদ্যোগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গৃহীত হয়েছে ‘১০০ মিলিয়ন ফর ১০০ মিলিয়ন’ ক্যাম্পেইন। সুবিধাবঞ্চিত ১০ কোটি শিশু-কিশোর-যুবকের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বের যুবসম্প্রদায়ের ১০ কোটিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এই প্রচারণায়। বাংলাদেশ থেকে এই প্রচারণার অংশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে গণসাক্ষরতা অভিযান।

নোবেলজয়ী এই ব্যক্তিত্ব কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণরা যেকোনো জাতি বিনির্মাণে একেকটা ব্লক বা ইটের মতো। যদি আমরা তরুণদের পেছনে যথেষ্ট বিনিযোগ না করি তাহলে আমরা টেকসই সমাজ গড়তে পারব না।’

কৈলাস সত্যার্থী বলেন, ‘এই দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, যিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, যার ভিত্তি গণতন্ত্র ও সমতার নীতির ওপর নির্মিত। বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এ দেশের মানুষের জন্য সব সময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

সব গ্রাজুয়েট এবং তাদের শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের যৌথ পরিশ্রম এবং সংকল্প জীবনের এই গর্বিত মুহূর্তটি নিয়ে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থী নেতা, উদ্ভাবক এবং সমস্যার সমাধানকারী। তারুণ্যের শক্তি সমগ্র বিশ্বের কাছেই সম্পদ। আপনাদের প্রত্যেকেরই সে ক্ষমতা রয়েছে, যা দ্বারা নিজেদের আলাদা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। চলুন আমরা এখন প্রতিজ্ঞা করি; গণতন্ত্র, সমতা এবং অটল ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বিশ্বদরবারে নিজেদের উপস্থাপন করার।’

শিক্ষানুরাগী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারর‌্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশের সফল শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও সমাজসেবক। বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে ব্যবসায়ী সমাজে তিনি সমাদৃত।

শিক্ষানুরাগী হিসেবে ড. নাফিজ সরাফাত সুপরিচিত। শিক্ষা খাতে তার সফল বিচরণ উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি লাভ করেছে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মূলত তার পরিকল্পিত ‘কানাডিয়ান এডুকেশন হাব’-এর অংশ। সরকার অনুমোদিত এ বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণে দেশের শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বাচলে অবস্থিত কানাডিয়ান এডুকেশন হাবের অংশ হিসেবে আরও কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান।

শিক্ষা খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখেন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান তার স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার পথ সুগম করেছে।

একনজরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় আগামী প্রজন্মকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ, আন্তর্জাতিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ, আধুনিক ভবন, দৃষ্টিনন্দন লেকের পাশে মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ, বিশাল খেলার মাঠসহ পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে চালু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম। এ ছাড়া বিশ্বমানের গবেষণাগার, আধুনিক স্টুডিও, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, স্টাডি জোন, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা স্টাডি লাউঞ্জ, অবসর কাটানোর স্থান, জিম, ফুড লাউঞ্জসহ নানাবিধ সুবিধা-সংবলিত বিশ্বমানের স্থাপত্য নকশায় গড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস।

বিশ্বমানের শিক্ষক, পড়াশোনার আধুনিক পদ্ধতি চালু থাকার কারণে এখানে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে সাজানো হয়েছে পাঠ্যক্রম।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য মেধার ভিত্তিতে বিশেষ বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেয়ার কার্যক্রমও চালু রেখেছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৪০ শতাংশ শর্তহীন বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিবেচিত হন শতভাগ বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে। এ ছাড়া সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা উপবৃত্তি এবং টিউশন ফির ক্ষেত্রে শতভাগ ছাড় পেয়ে থাকেন।

পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা, বুদ্ধির চর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদিতেও জোর দিয়ে থাকে সিইউবি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক ক্লাব। যার মধ্যে রয়েছে- ডিবেট ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, মুটিং ক্লাব, ফিল্ম ও ড্রামা ক্লাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিভাগের অধীনে বছরব্যাপী নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও পুরস্কার জিতে আসার কারণে বিশ্বব্যাপী কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম কুড়িয়েছে।


১৫-২৫ জুলাই একাদশে ভর্তি, ৩০ জুলাই ক্লাস শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৫ জুলাই থেকে। এই কার্যক্রম চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আর এই শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এবারও শিক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তিন পর্যায়ে আবেদন নেওয়া হবে। আগামী ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

গত ১২ মে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী, পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২৫ লাখ। অর্থাৎ, এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থেকে যাবে।

অনলাইনে http://www.xiclassadmission.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। কেবল শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ১২-১৩ জুন প্রথম পর্যায়ের আবেদন যাচাই, বাছাই ও নিষ্পত্তি করা হবে। এই সময়েই পুনঃনীরিক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে।

এরপর ২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের এবং ৯-১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং ১২ জুলাই রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।


একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু ২৬ মে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ২৬ মে। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই। যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবেন, আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে (২৬ মে থেকে ১১ জুন) আবেদন করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৬ মে। আর শেষ হবে ১১ জুন। আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিষ্পত্তি ১২ জুন থেকে ১৩ জনু। শুধু পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ ১২ ও ১৩ জুন। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ১২-১৩ জুন। ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।

ঈদের ছুটির পর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীরা ফল প্রকাশের পর থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত নিশ্চায়ন করতে পারবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুন এবং শেষ হবে ২ মে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই রাত ৮টায়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই রাত ৮টায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ৫ জুলাই থেকে ৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৯ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ জুলাই। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়।

তৃতীয় পর্যায়ে আবদেনের ফল প্রকাশ ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ১৩ থেকে ১৪ জুলাই। ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই এবং শেষ হবে ২৫ জুলাই। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই।

গত ১২ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১৫ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

বিষয়:

এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে নাওয়ার হাসান মনিকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নাওয়ার হাসান মনিকা এবার এসএসসি পরীক্ষায় শহীদ বীর উত্তম লে: আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তার বাবা বিটিসিএল-এর একজন কর্মকর্তা এবং মা উদ্যোক্তা ও গৃহিনী। মনিকা বড় হয়ে একজন ডিফেন্স অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী।


উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

কুয়েটের এক সভাকক্ষে ইউজিসির আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন ইউজিসির চেয়ানম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১৮:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

আজ মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সভাকক্ষে ইউজিসির আয়োজনে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেশে বেকার সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তোলা, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করাসহ উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের পরামর্শ দেন। ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে শুধু লাইক, কমেন্টস ও শেয়ারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কথা জানান।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বনির্ভরতা অর্জনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম বা যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। এ ছাড়া, কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান এপিএ বাস্তবায়নে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ তৈরি এবং ভালো কাজের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আগামী অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিষয়:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৯:২৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকাস্থ আগারগাঁও-এ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএমইউ) ইন্সটিটিউট অব বে অব বেঙ্গল এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ কর্তৃক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। সেমিনারটি নেদারল্যান্ডের নাফিক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমরাডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোঃ জহির উদ্দিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন। সেমিনারে উপস্থিত বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে দেশের সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন ও সমুদ্রভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় জবি শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

জবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তিথী সরকার। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৭:০৭
জবি প্রতিনিধি

ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে ফেসবুকে কটূক্তি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তিথী সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, তিথি সরকারের আগের ২১ মাসের কারাভোগ বর্তমান সাজা থেকে বাদ যাবে। এ ছাড়া তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে তাকে নিয়মিত প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে হাজিরা দিতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। একই বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি আরেকটি মামলা করেন। ২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অনেকদিন ধরে হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।


দুই অদম্য শিক্ষার্থীর সাফল্যগাথা

ছবিতে বামে হুজাইফা ও ডানে রাব্বি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ঠেকাতে পারেনি দুজন অদম্য শিক্ষার্থীকে। গতকাল প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তারা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। একজন পা দিয়ে লিখে অন্যজন ডান হাত অকার্যকর থাকায় বাম হাত দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সীতাকুণ্ডের তরুণ রফিকুল ইসলাম রাব্বি। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল পা দিয়ে লিখে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, রাব্বি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে হাজি তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম রাব্বি ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় স্কুল থেকে ভাটিয়ারী বাজারে ফুট ওভারব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার দুই হাত হারায়। এরপর অদম্য রাব্বি প্রথমে মুখ দিয়ে ও পরে পা দিয়ে লেখা আয়ত্ত করে।

রাব্বি বলে, ‘আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে মনোবল অটুট ছিল। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ভালো ফলাফল করেছি। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই।’

রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে।’

ভাটিয়ারী হাজি তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও রাব্বি অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে। পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে। বিত্তবানরা যেন তার পড়ালেখায় সহযোগিতা করে, সেটাই প্রত্যাশা।

পরীক্ষাকেন্দ্র ফৌজদারহাট খয়রাতি মিঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, তাকে নিয়মানুযায়ী ৩০ মিনিট সময় অতিরিক্ত দেওয়া হয়; কিন্তু বাড়তি সময় সে নেয়নি।

সীতাকুণ্ডের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, ‘রাব্বিকে সেই পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমরা মুখ দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য পেতে দেখেছি। সে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে।’

অন্যদিকে, জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হুজাইফা। তার ডান হাতের কুনুইয়ের নিচের অংশ নেই। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দরিদ্রতা; কোনোটাই তাকে হার মানাতে পারেনি। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি শ্রেণিতেই মেধার পরিচয় দিয়েছে।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় হুজাইফা মোল্লা।

হুজাইফা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভানুরকান্দা গ্রামের কৃষক মনজুর রহমান ও শাহানা দম্পতির ছেলে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন প্রত্যেক শ্রেণিতেই প্রথম হয়েছে সে। এরপর সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম হয়ে ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। পরে অষ্টম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হলেও নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি হুজাইফার চলার পথে কখনো কখনো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রতা। তবে সে প্রমাণ করতে চায়, ইচ্ছা থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দরিদ্রতা কোনোটিই বাধা নয়।

হুজাইফা বলেন, ‘জন্ম থেকেই আমার ডান হাত নেই। আমি বাম হাত দিয়ে সব কাজকর্ম করি। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। বাম হাতে লিখে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার ইচ্ছা বড় হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবো। আমি প্রমাণ করে দিতে চাই, ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতাই কখনো বাধা হতে পারে না।’

হুজাইফার বাবা মনজুর রহমান বলেন, ‘ছোট থেকে হুজাইফা পড়ালেখায় মেধাবী। তার ডান হাত না থাকলেও সংসারের সব কাজ করে পরিবারে সহযোগিতা করে আসছে। সে কখনো নিজেকে প্রতিবন্ধী কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষম মনে করে না। তবে পরিবারে অভাব-অনটন থাকায় আমরা তাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তবে তার লক্ষ্য পূরণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তার ফলাফলে আমরা খুব খুশি হয়েছি।’

সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘হুজাইফা আমার বিদ্যালয়ের অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থী। সে হার মানতে রাজি নয়। সব পরীক্ষায় বাম হাত দিয়ে লিখেই সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিদ্যালয় থেকে তাকে উপবৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সে অনেক ভালো পর্যায়ে যাবে বলে মনে করি।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘হুজাইফাকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আর্থিক ভাতা করে দেওয়া হয়েছে। বাম হাত দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পাওয়ায় অন্য প্রতিবন্ধীরাও তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করি। আমরা সব সময় তার পাশে আছি।’


এবারও মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে  

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরাই। বিগত ৭ বছর ধরেই মাধ্যমিকে পাসের হারের দিক থেকে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছর ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র আর ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন ছাত্রী, অর্থাৎ ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২৩ সালে ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পাওয়া ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র আর ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।

এদিকে ছেলেদের সংখ্যা কেন কম এবং কেন তারা ফলাফলে মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে তা খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা সংখ্যায় কম কেন তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বোতাম টিপে ফল প্রকাশ করেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা; কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং কেন ছাত্রের সংখ্যা কমছে তার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমার কথা নয়, মেয়েদের সমান হওয়া উচিত।’

বিষয়:

৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮টি। অন্যদিকে ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার মোট ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা সবাই পাস করেছে আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেনি।

এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

বিষয়:

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাস ৬০.৪২ শতাংশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

আজ রোববার রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই শিক্ষার্থীরা জিএসটির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে রোববার সকালে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। পরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার আজ ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ২১ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ০ দশমিক ০২ শতাংশ তথা সাতজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

তিনি জানান, ‘সি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মো. রাশেদ ফরাজি। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।

এর আগে ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এর আগে ২৭ এপ্রিল থেকে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘সি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য তিন হাজার ৬২৯টি আসন রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে।

‘এ’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সে হিসাবে পাসে হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪০২টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হলো। খুব দ্রুতই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

যবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় প্রত্যক্ষ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ।

আরও ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, জিএসটির টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


‘ঈদুল আজহার পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হতে পারে’

সচিবালয়ে রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের শনিবার বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার সচিবালয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।’

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার...আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।’

বিষয়:

এসএসসির ফল: খাতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে কাল থেকে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল ১৩ মে থেকে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএ-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। ফল পুনর্নিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

বিষয়:

এসএসসি ও সমমানে গড় পাস ৮৩.০৪ শতাংশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড়ে পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে দুই দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এবার সব শিক্ষা বোর্ডে পাস ও এ প্লাস তথা জিপিএ ফাইভে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৫৯ হাজার ৪৭ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।’

তিনি জানান, এ বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার এক হাজার ৪৪৯ জন কম শিক্ষার্থী এ প্লাস পেয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি ও সমমানে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৪৭টি। অন্যদিকে মোট কেন্দ্র কমেছে ১১টি।


banner close